ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জরুরি ওষুধ ফুরিয়ে আসছে শ্রীলঙ্কায়, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৫:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

 

 

অর্থ ও রাজনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কায় এখন জরুরি ওষুধ ফুরিয়ে আসছে। এমন সতর্কবার্তা দিলেন দেশটির চিকিৎসকরা। ফলে জরুরি অস্ত্রোপচার একেবারেই অসম্ভব হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলোতে। নতুন ওষুধের চালান না এলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

 

শ্রীলঙ্কা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের হাসপাতালগুলো চিকিৎসার জন্য জরুরি বিদেশি ওষুধ ও সরঞ্জাম পাচ্ছে না। ফলে নিয়মিত সার্জারি একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে, জীবনদায়ী সার্জারিও বন্ধ করে দিতে হবে।

 

 

এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে কার্যালয় ঢোকার পথ এখন বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে। দুইদিন ধরে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দখলে রেখেছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টির মধ্যেও রেইনকোট, ছাতা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা সদস্য।

 

 

ব্ল্যাকআউট, খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ সংকটে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে সাধারণ মানুষ গত কয়েক দিন ধরে বাধ্য হয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে। ১৯৪৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এতটা বিপর্যয়ে পড়েছে দেশটি।

 

চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আমাদেরকে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কে চিকিৎসা পাবেন আর কারা পাবেন না। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসকে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে চিঠিতে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়ানো না গেলে, মৃত্যুর সংখ্যা করোনা মহামারির চেয়েও খারাপ খারাপ হবে।

 

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এর ফলে কলম্বো বাধ্য হয়েছে মুদ্রার মূল্য কমাতে এবং বৈশ্বিক ঋণদাতাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। হিমশিম খাচ্ছে জরুরি খাদ্য ও জ্বালানি আমদানিতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, সপ্তাহান্তে জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রান্নার জ্বালানি গ্যাসের দাম এক হাজার ১৫০ রুপি থেকে বেড়ে চার হাজার ছাড়িয়েছে। শিশুখাদ্য গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। অর্থের অভাবে কাগজ ছাপা বন্ধের ফলে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।