২৩ থেকে ২৯ জুলাই সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনে গাইবান্ধায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে র্যালি, মৎস্য অবমুক্তকরন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
" নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে লক্ষ্য রেখে গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তর এর আয়োজনে ২৪জুলাই রবিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌরপার্কের পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল আযম সহ অনেকে। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবির, গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু খায়ের, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি ও দৈনিক মাধুকর পত্রিকার সম্পাদক কে,এম রেজাউল হক।
দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবি উপেন্দ্রনাথ দাশ, মৎস্যচাষী আব্দুর রাজ্জাক, নারী উদ্যোক্তা শিল্পী আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অহেদুজ্জামান।
আলোচনা শেষে তেলাপিয়া মাছ চাষ সহ বিভিন্ন সেক্টরে সাফল্য অর্জনকারী ব্যাক্তি আশরাফুল আলম, জাকির হোসেন ও শিল্পী বেগমকে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বক্তারা বলেন- ১৯৯৬ সাল থেকে মৎস্য সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। প্রানীজ আমিষের অন্যতম উৎস্য মাছ। মৎস্য সংরক্ষন করতে হবে। মৎস্য সংরক্ষন করতে পারলে জাতীয় উন্নয়ন এর পাশাপাশি মানুষের আমিষের মৎস্য চাহিদা পুরন হবে। সে সাথে
মৎস্যজীবি ও চাষীদের পুকুর গুলো ইজারা দিলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে। মাছের অধিক উৎপাদন ও মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সে সাথে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সকল নারীকে মাছ চাষে অংশগ্রহনের জন্য আহবান জানান। পচা পানিতে মাছ চাষ করতে নিষেধ করেন।