ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

জাপানি মায়ের কাছে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে দুই শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২২ ১০:১৫:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছেই ৬ ফেব্রুয়ারি থাকবে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা। তারা রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।

 

রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

 

আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।

 

আপিল বিভাগ শুনানিতে বলেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আমরা এই মামলা শুনব। পরে আদালত শুনানির জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালত বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগের আদেশ বহাল থাকবে।

 

এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন।  

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। 

 

গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে যেকোন সময় বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

 

গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো।

 

এর আগে, ২১ নভেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।