মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রিমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রিমার স্বামী কয়েছ মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
রিমা উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যুগীমুরা গ্রামের বাসিন্দা রইছ আলীর মেয়ে।
রিমার মা শারি বেগম অভিযোগ করে বলেন, আশ্বিন মাসের ১ তারিখ দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামের বাসিন্দা কাদির ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে কয়েছ মিয়ার সাথে রিমার বিয়ে হয়। কয়েছ চট্টগ্রামে থেকে গাড়ী চালায়। বিয়ের পর থেকেই সে গাড়ী কিনতে টাকার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছিল। সম্প্রতি সে আমার ছেলের নিকট ৩০ হাজার টাকা চায়। এ টাকার জন্য সে রিমাকে বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ ও মারপিট করতো। সব ঘটনা রিমা আমাদের ফোনে জানাতো। শনিবার (৭ জানুয়ারি) কয়েছ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ী এসে রিমাকে টাকার জন্য চাপ দেয় এবং সে বাবার বাড়ী এক সেট কাপড় রেখে যাওয়ায় এনিয়ে গালাগাল করে। আজ সোমবার সকাল থেকে রিমাকে শারীরিক ও মানসিক চাপ দিতে থাকে। রিমা ফোনে আমাদের এ কথা জানায়। দুপুর প্রায় ১২টার দিকে কয়েছ আমাকে ফোন দিলেও কিছু বলেনি। এর পর কয়েছের ছোট ভাই জাবেদ ফোন করে বলে রিমা ঘরে ফাঁস লেগে মারা গেছে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার ও স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।