ঢাকা, বুধবার ১ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহের এক দম্পত্তি লালন পালন করছেন বিদেশি জাতের সান ও এলেক্স নামের টিয়া পাখি

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

ঝিনাইদহের এক দম্পত্তি লালন পালন করছেন বিদেশি জাতের সান ও এলেক্স নামের দুইটি রঙিন টিয়া পাখি। মুক্ত আকাশে উড়ছে। কখনো গাছের ডাল আবার কখনো মানুষের কাঁধে কাঁধে। পাখি নিয়ে ভালোবাসার বহু উদাহরণ আছে। আছে কত কব্যমাখা কবিতা ও গান। পাখি ভালোবাসে না এমন মানুষ সমাজে বিরল। পাখির প্রতি এই গভীর ভালোবাসা থেকে ঝিনাইদহের এক দম্পত্তি লালন পালন করছেন বিদেশি জাতের জোড়া দুটি টিয়া পাখি। আদর করে তাদের নাম দিয়েছেন সান ও এলেক্স। সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের জাড়গ্রামের আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী ফারিয়া আক্তার রিয়ার সংসার এখন সান ও এলেক্সকে নিয়ে। সন্তানের মতোই লালন পালন করছে পাখি দুটিকে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে তরুণী গৃহবধু ফারিয়া আক্তার রিয়া রান্না করেছেন। তার ঘাড়ের উপর বসে সঙ্গ দিচ্ছে দুটি টিয়া পাখি। সন্তানের মতো খোসগল্পে রান্নার কাজ সারছেন রিয়া। সারাক্ষন রিয়ার সঙ্গে সঙ্গ দেয় সান আর এলেক্স। আবার গৃহকর্তা আক্তারুজ্জামান বাড়িতে প্রবশে করলে পাখি দুটি ছুটে চলে যায় তার কাছে। ছোট বাচ্চাদের মতো মুখে চুমু দেয়। আবার রিয়া ডাকা মাত্রই তার কাছে উড়ে চলে আসছে। ৮ মাস বয়সী সান-এলেক্সকে নিয়ে আক্তারুজ্জামান ও ফারিয়া ঘুরে বেড়ান পুরো গ্রাম। এক অদ্ভুত ভালোবাসার বন্ধন তৈরী করেছে সান ও এলেক্স। নগরবাথান বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, ২৪ হাজার টাকা দিয়ে কুষ্টিয়া থেকে সান ও এলেক্সকে কেনা হয়। তখন তাদের বয়স মাত্র ২০ দিন। উত্তর-পূর্ব দক্ষিণ আমেরিকার সান কোনুর জাতের পাখি দুইটি এখন তাদের সন্তান। তার সংগ্রহে আরো ২০টি বিদেশী জাতের পাখি আছে বলে তিনি জানান।  প্রতিবেশী পলাশ মিয়া জানান, পাখির এমন বন্ধুত্বপুর্ন আচরণ সত্যিই বিরল। আমাদের গ্রামে এই প্রথম দেখলাম। আরেক প্রতিবেশী রুহুল আমিন জানান, পাখিগুলো সারাদিন আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঘুরে বেড়ায়। পাখির সঙ্গে এমন ভালোবাসা দারুন উপভোগ করেন গ্রামবাসি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন, মানুষের সঙ্গে পশুপাখির সখ্যতা বা ভালোবাসার অনেক নিদর্শন আছে। তবে উত্তর-পূর্ব দক্ষিণ আমেরিকার কোনুর জাতের পাখি সান ও এলেক্সের মতো সম্পর্ক খুবই বিরল। তিনি বলেন ছোট থেকে কোনো পশুপাখিকে আদর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করলে পোষ মানে। কিন্তু এই দম্পতির ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। পাখিগুলো তাদের বাবা-মা মনে করে। তিনি বলেন বণ্যপ্রাণী পোষার ক্ষেত্রে আইন আছে। তবে যে কেউ বিদেশি জাতের টিয়া পাখি পুষতে পারেন।