ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ছয় দিন পর গর্ভবতীর মরদেহ উদ্ধার

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ২ নভেম্বর ২০২২ ০৫:১১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর





টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গর্ভবতী ফাতেমা আক্তারের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সহবতপুর গ্রামে থেকে নিখোঁজের ৬ দিন পর ঝুলন্ত অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত সমাজ মিয়ার মেয়ে।
নিহতের পবিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমার বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তানসহ প্রথম স্বামী আলীম স্ত্রী ফাতেমাকে তালাক দেয়। ফাতেমা সংসারের অভাবের তারনায় সৌদি পাড়ি দেন। টানা পাঁচ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরত আসে। পরে ফাতেমা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরী নেন। চাকুরীর সুবাদে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার আরশেদ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া সাথে প্রথমে প্রেম পরে বিয়ে হয়।
বিয়ের প্রায় দুই মাস পর রুবেলের ছোট ভাই শামিমের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে ফাতেমা। পরে রুবেলকে তালাক দিয়ে ছোট ভাই শামিমকে বিয়ে করে সাত মাস ধরে ঘর সংসার করে আসছিল। এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়ে ফাতেমা। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) স্বামীসহ ফাতেমা তার বাবার বাড়ী সহবতপুর আসেন।
পরের দিন (২৮ অক্টোবর) সকালে স্বামী শামিম ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ফাতেমাকে আর খুঁজে পান না। ফাতেমার বাড়ীর লোকজন স্বামী শামীমকে চাপ সৃষ্টি করলে শামীম কোন কিছু উত্তর না দিয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। নিহত ফাতেমার বাড়ীর লোকজন শামীমের মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে শামীম নানা রকম কথা বার্তা বলেন।
এদিকে নিখোঁজের ৬ দিন পর বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বাড়ির পাশ থেকে মাটি আনতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে ফাতেমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান চাচাতো ভাবি পারুল আক্তার। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেন।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) হাসান সরকার জাহিদ বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।