ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাট গুলিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । আর এতেই হাট গুলি থেকে গরু ছাগল না কিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু ছাগল ক্রয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ক্রেতারা। অপরদিকে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি থাকছেন বিক্রেতা ও খামারিরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পশুর বড় হাট গুলির মধ্যে খোচাবাড়ি হাট, চৌধুরী হাট, গড়েয়া হাট, সেনুয়া, শীবগঞ্জ সহ ফাড়াবাড়ি হাট অন্যতম। অভিযোগের সত্যতা মেলে এ হাট গুলিতে গিয়ে ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পশুর বড় হাট গুলির মধ্যে খোচাবাড়ি হাট, চৌধুরী হাট, গড়েয়া হাট, সেনুয়া, শীবগঞ্জ সহ ফাড়াবাড়ি হাট অন্যতম। অভিযোগের সত্যতা মেলে এ হাট গুলিতে গিয়ে ।
গড়েয়া হাটে চন্ডিপুর গ্রাম থেকে গরু কিনতে এসেছেন মইনুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। অনেক ঘোরাঘুরি ও দামাদামি করে পরে খালি হাতেই ফেরেন বাসায়।
এসময় মইনুল জানান, হাটে গরুর দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু খাজনা/ বাড়তি টাকা নিয়ে ভালোই সমস্যা হচ্ছে। গরু প্রতি সরকারি রেট ২৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এখানে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরু প্রতি ২৭০টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে, যা হাটের ছাড় পত্রে উল্লেখ করা হচ্ছেনা। এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাড় লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জানান তিনি।
চৌধুরী হাটে ছাগল কিনতে আসা জুয়েল নামের আরেক ক্রেতা জানান, হাট গুলিতে ছাগলের ক্ষেত্রেও একইভাবে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। ছাগলের জন্য ৯০ টাকা খাজনা নির্ধারত থাকলেও প্রতিটি ছাগলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২শ টাকা।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে হাটের ইজারাদারদের সাথে কথা বললে অনেকে সদুত্তর দিতে পারেননি আবার অনেকেই পাশ কাটিয়ে যান। আবার অনেকেই বলেছেন হাটের ইৎারা নিতে আমাদেরও প্রয়োজনের বাহিরে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। বাড়তি টাকাটা এভাবেই তুলে পুষিয়ে নিতে হয় ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। শীঘ্রই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে ঠাকুরগাঁও সালান্দর এলাকার চৌধুরীহাট পশুর হাটে ১৪৪ ধারার নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন প্রশাসন। ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চৌধুরীহাট পশুর হাটের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা গোলাম মাওলা চৌধুরী জানান, গরু ছাগলের হাটটি যে জায়গায় বসে সেটির পরিমান ২ একর এক শতাংশ এবং সে জায়গাটি পুরোপুরি আমার ব্যাক্তি মালিকানায়। ইতোপূর্বে আমি এ হাট থেকে একটি টাকাও নিতামনা। এ হাটটির ব্যাপারে মাইকিং করেছিলো সাবেক মেম্বার মিজানুর এবং চেয়ারম্যান মুকুট চৌধুরীর বড় ভাই। তারা আমার জায়গায় পশুর হাট বসাতে তো আমার অনুমতি নিতে হবে। আমি এ ব্যপারে গত মাসের ২৯ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এর শুনানি করে এবং হাটটিতে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। পরবর্তীতে সদর থানার ওসি গিয়ে আদেশের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে আসেন।
এসময় মইনুল জানান, হাটে গরুর দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু খাজনা/ বাড়তি টাকা নিয়ে ভালোই সমস্যা হচ্ছে। গরু প্রতি সরকারি রেট ২৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এখানে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরু প্রতি ২৭০টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে, যা হাটের ছাড় পত্রে উল্লেখ করা হচ্ছেনা। এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাড় লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জানান তিনি।
চৌধুরী হাটে ছাগল কিনতে আসা জুয়েল নামের আরেক ক্রেতা জানান, হাট গুলিতে ছাগলের ক্ষেত্রেও একইভাবে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। ছাগলের জন্য ৯০ টাকা খাজনা নির্ধারত থাকলেও প্রতিটি ছাগলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২শ টাকা।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে হাটের ইজারাদারদের সাথে কথা বললে অনেকে সদুত্তর দিতে পারেননি আবার অনেকেই পাশ কাটিয়ে যান। আবার অনেকেই বলেছেন হাটের ইৎারা নিতে আমাদেরও প্রয়োজনের বাহিরে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। বাড়তি টাকাটা এভাবেই তুলে পুষিয়ে নিতে হয় ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। শীঘ্রই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে ঠাকুরগাঁও সালান্দর এলাকার চৌধুরীহাট পশুর হাটে ১৪৪ ধারার নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন প্রশাসন। ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চৌধুরীহাট পশুর হাটের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা গোলাম মাওলা চৌধুরী জানান, গরু ছাগলের হাটটি যে জায়গায় বসে সেটির পরিমান ২ একর এক শতাংশ এবং সে জায়গাটি পুরোপুরি আমার ব্যাক্তি মালিকানায়। ইতোপূর্বে আমি এ হাট থেকে একটি টাকাও নিতামনা। এ হাটটির ব্যাপারে মাইকিং করেছিলো সাবেক মেম্বার মিজানুর এবং চেয়ারম্যান মুকুট চৌধুরীর বড় ভাই। তারা আমার জায়গায় পশুর হাট বসাতে তো আমার অনুমতি নিতে হবে। আমি এ ব্যপারে গত মাসের ২৯ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এর শুনানি করে এবং হাটটিতে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। পরবর্তীতে সদর থানার ওসি গিয়ে আদেশের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে আসেন।