ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

থানা বেষ্টনীর মধ্যেই ধর্ষণ করলো পুলিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৭ জানুয়ারী ২০২২ ০৬:০০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

নোয়াখালীর মাইজদীতে থানা বেষ্টনীর মধ্যেই তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে এক ট্রাফিক কনস্টেবলের (মুন্সি) নামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক কনস্টেবলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সুধারাম থানার বেষ্টনীর মধ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী সদরের ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. কামরুল (২৫), অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০) এবং সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯)।

অপরদিকে ভিকটিম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আটিয়া বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে মাইজদী আসেন। সেখানে অবস্থানকালে অর্থ সঙ্কট দেখা দিলে তিনি পূর্ব পরিচিত সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন।

একপর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামিকেই গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।