সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী চিকিৎসার জন্যে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। চিকিৎসা শেষ করতে পারেননি। প্রবল বৃষ্টিপাতে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকার নাগরিক পানিবন্দি ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন-এমন খবর পেয়ে ফিরে আসেন দেশে। সোমবার সকালে তিনি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেই জানতে পারেন সিলেট নগরীতে ঘটেছে দুইটি দুর্ঘটনা।
বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি ছুটে যান দুর্ঘটনাস্থলে। শহরতলির লাক্কাতুরায় বজ্রপাতের আগুনে ৯টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ভোরে সিলেট-বিমানবন্দর সড়কের লাক্কাতুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমেই এই দুর্ঘটনরাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্ঘটনাস্থল শহরতলির মেজররটিলার চামেলীবাগ এলাকায় ছুটে যান। চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলার মাটি ধসে মাটি চাপায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। মাটিচাপা পড়ার প্রায় ৬ ঘন্টা পর সোমবার বেলা ১২ টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারিবৃষ্টিতে সোমবার ভোর ৬টায় চামেলীবাগ এলাকার ২ নম্বর রোডের একটি টিলা ধসে ৮৯ নম্বর বাসার উপর পড়ে। এতে এই বাসায় ভাড়া থাকা ছয় সদস্য মাটির নিচে চাপা পড়েন। তিনজনকে তাৎক্ষণিক জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয় বেলা ১২ টায়।
এই দুর্ঘটনাস্থালে গিয়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনে। এসময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। ফলে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না।