হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক গৃহকর্মী তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসার জন্য ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত তরুণীর সাথে কথা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্ষণের শিকার তরুণী জেলার বানিয়াচং উপজেলার জনৈক ব্যক্তির মেয়ে। সে নবীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে সবজি আনতে বাসার নিকটবর্তী বাগানে যান। এ সময় স্থানীয় চায়ের দোকানদার ইব্রাহিম তার মুখ বেঁধে সিএনজিতে করে নিকটবর্তী একটি মোরগের খামারে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে আটকে রেখে ইব্রাহীম ও মোরগের খামারে থাকা আরও দুইজন তাকে রাতভর ধর্ষণ করে। পরদিন ভোরে ইব্রাহিম তাকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাসার সামনে ফেলে যায়।
বাসার মালিক (প্রবাসীর স্ত্রী) বলেন, ‘সোমবার বিকেলে সবজি আনতে বাগানে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রাতে আমরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। পরদিন সকালে চিৎকার শুনে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি সে বাড়ির উঠানে পড়ে আছে। কোথায় ছিল জানতে চাইলে সে বিস্তারিত জানায়।’
তিনি বলেন, ‘পরে বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাই। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছে। বুধবার দুপুরে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পরই গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ইতোমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিতে তরুণীকে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।