পুলিশে নিয়োগের শারিরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর লিখিত পরীক্ষায় আর অংশগ্রহণ করা হলো না টগবগে যুবক রাফি ভুইয়ার। তার আগেই ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু ঘটলো তার। নারকীয় এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকার।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয় তার স্বজনদের কাছে। এর আগে সোমবার রাতে জেলা নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ঘটে এই নারকীয়তা। নিহত রাফি ভুইয়া (১৯) আহাম্মদপুর গ্রামের নিয়ামুল ভূইয়ার পুত্র। এইচএসসি পাশ করা রাফি পুলিশে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার্থী ছিলো।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় আহাম্মদপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার পুত্র প্রদীপ (২০), স্বপন মিয়ার পুত্র রাফি (২১) এবং হুরণ মিয়ার পুত্র শিমুল (২০) নামের তিন বখাটে সঙ্গে ছুরি নিয়ে ঘুরাফেরা করতো। স্থানীয় একটি মেয়েকে তারা প্রায়শই করতো উত্যক্ত। সোমবার সন্ধ্যায় রাফি তাদের ওই মেয়েকে উত্যক্ত না করার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে রাফির সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়৷ এরই এক পর্যায়ে বখাটে দলের প্রদীপ নামের বখাটে রাফিকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্তের পর তার মরদেহ স্বজনদের কাছে করা হয়েছে হস্তান্তর। তিনি আরও জানান, স্থানীয় লাউরফতেহ্পুর ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজ থেকে রাফি এইচএসসি পাস করেছে। পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়। ২৯ মার্চ মঙ্গলবার তার অংশ নেয়ার কথা ছিলো লিখিত পরীক্ষায়।