ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি
হতে ২৫০টাকা ও টিসি নিতে ২শ টাকা করে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া।গেছে নবীনগর পৌর এলাকার করিমশহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই প্রধান
শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত দুটি অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা।
অভিযোগকারি নিপা আক্তার ,রাবেয়া খাতুন সহ অভিবাবকরা জানান, ২০২৪
সালে করিমশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে আমাদের ছেলে। মেয়েদের ভর্তি করতে ২৫০ টাকা ও ৫ম শ্রেণীর টিসি ফি বাবদ ২শ টাকা করে
আদায় করেছে প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া। এছাড়াও স্কুল চলাকালিন
সময় আমাদের ছেলে মেয়েদের দিয়ে স্কুলের টয়লেট-ওয়াশরোম পরিস্কার করা সহ
প্রধানশিক্ষিকার টিফিনবক্স -থালা পরিস্কার করাতে বাধ্য করেন তিনি। আমরা
এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ছেলে-মেয়েদের অন্যস্কুলে ভর্তি করাতে বলেন
প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও স্কুল ফাঁকি দিয়ে অনেকদিন অনুপস্থিত থাকতে
দেখা যায় ওই প্রধান শিক্ষিকাকে। বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে
ইউএনও স্যার ও শিক্ষা অফিসারে স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা
দিয়েছি আমরা।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া বলেন, টাকা নিয়েছি স্কুলের উন্নয়নের জন্য স্কুলের বিভিন্ন কাজে এ টাকা ব্যবহার করে থাকি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল
সরকার জানান, নবীনগর করিমশাহ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত
সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির ফরহাদ শামিম জনান, অভিযোগের
খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।