নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মুজিব কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষানবিশ নার্সকে (২২) হত্যার আগে একাধিকবার ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃত অটোরিকশাচালক মো. রুবেল হোসেন (২৮)।
শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার চররশিদ এলাকা থেকে রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে নিহত নার্সের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম উদ্ধার করা হয়।
রুবেল হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মকবুল আহমেদের পালক ছেলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই নার্সের প্রতি রুবেলের লোলুপ দৃষ্টি ছিল। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য রুবেলের অটোরিকশায় ওঠেন। গন্তব্যে পৌঁছার পর ভাড়া পরিশোধ করে নানা বাড়িতে ঢোকার আগ মুহূর্তে পেছন থেকে রুবেল তাকে জাপটে ধরেন। পরে নার্সের মুখে ওড়না পেঁচিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা।
তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন এ ঘটনায় দিনরাত অভিযান পরিচালনা করেছি। মূল আসামির কাছে পৌঁছাতে আমাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রুবেল। আমরা বিচারিক আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড প্রার্থনা করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
এর আগে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় প্রথমে মমিনুল হক ওরফে ফারুককে (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লার বাড়ির পেছনের ধানক্ষেত থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নার্সের বাড়ি কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে।