মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর উন্নয়নে রেল লাইনের ধারে ইপিজেড স্থাপন যেখানে বর্তমানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের। ইপিজেড হওয়ায় অত্র এলাকার কাজীরহাট থেকে নীলফামারী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে জমির দাম ৫ লক্ষ টাকা শতকে পৌছেছে। এরই ধারাবহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী ঢেলাপীর নামক স্থানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বেজা গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর ফলে অত্র এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। গত ২৯/০৩/২০১৬ইং তারিখে ২৬৮১/১৬ দলিলমূলে ১০৬ একর খাস জমি জেলা প্রশাসক মহোদয় অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর দীর্ঘমেয়াদী লীজ দলিল বন্দোবস্ত দেন। মামলা নং-০১/২০১৫-১৬।
উক্ত জমি বেজাকে দেওয়ার ফলে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ভূমিদস্যু রেললাইনের পাশে বোমা মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে প্রায় একশত কোটি টাকার বালু চুরি করে জমিটিকে বিরাট পুকুরে পরিনত করেছে। প্রশাসন সবকিছু দেখেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ। এর পাশাপাশি উক্ত জমির সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কের পাশে ঢেলাপীর হাট সংলগ্ন ও হাটে প্রবেশদ্বারে রয়েছে বেজার জমি। রাস্তার উভয় পাশের বেজার জমিগুলি স্থানীয় তহসীলদারসহ স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট করে পাকাঘর বাড়ি, দোকানপাঠ, মার্কেট নির্মান করে অন্যের নিকট চড়ামূল্যে বিক্রি করছেন। উক্ত রাস্তা দিয়ে দিনে রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যাতাযাত করলেও বিষয়টি দেখেও তারা না দেখার ভান করছেন।
এব্যাপারে নীলফামারীর ভূমি কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তারা কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উক্ত ভূমিদস্যুরা আরো বেপরোয়া হয়ে মূল্যবান জমি দখলে মহোৎসবে মেতেছে। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নং ০১৭১২২০৪৪৭৭ এ কথা বললে তিনি জানান দখল এবং বিক্রয়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, উক্ত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমরা মন্ত্রণালয় মারফত দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।