ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পটিয়ার কাশিয়াইশ দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত-১৫, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ

তাপস দে আকাশ ,পটিয়া | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:১৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

পটিয়া কাশিয়াইশ নয়াহাট বাজার এলাকায় নির্বাচনী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রার্থীর অফিস ভাংচুর, গাড়িতে অগ্নি সংযোগ ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের হামলায় প্রায়১৫জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) প্রেরণ করা হয়।

মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, স্বপন দাশ (৩৫), সাব্বির হোসেন লোমান (২৬), উজ্জল সেন(২৩), সালাউদ্দিন রাসেল(২৬) আরো ১০/১৫ জন। পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি, ওসি তদন্ত সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কাশিয়াইশ নয়াহাট বাজার এলাকায় নির্বাচন কে কেন্দ্র করে কিছু লোকজন এলাকায় হামলা চালিয়ে নৌকা প্রতিকের অফিস ভাংচুর, চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর সহ মোটরসাইকেল জালিয়ে দেয়। এসময় দু’পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় বেশ কিছু লোক হামলায় আহত হয়। এ ঘটনায় ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যেতে থাকে। পরে পুলিশ এসে দু’পক্ষকে ধাওয়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

 নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানান, কাশিয়াইশ নয়াহাট এলাকায় নির্বাচনী কমিটি গঠন করে যাওয়ার সময় বাজার এলাকায় রাত আটটার দিকে আনারস প্রতিকের প্রার্থী কায়েস সহ তাঁর কর্মী সমর্থকেরা ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁর কর্মীদের মারধর করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে এবং তাঁর ছেলের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর সহ তাদের একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এসময় সে নিজে সহ ১০/১৫ জন নেকাকর্মী আহত হয়। তৎমধ্যে কয়েকজন কে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলেও আরো ৫/৬জন কে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে প্রাণে রক্ষা পায়। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থীত স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়েস জানান, কাসেম চেয়ারম্যানের সমর্থীত লোকজন অতর্কিত করে তাঁর অফিস ভাংচুর করে। এবং তাঁর সমর্থীত রাসেল নামের এক কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। রাসেল বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চেয়ারম্যানের সমর্থীত বহিরাগত লোকজন নিয়ে এ হামলা করে তিনি অভিযোগ করে। এই হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরতর আহত হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বলে সে জানান। তবে এ ব্যাপারে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, কাশিয়াইশ নয়াহাট বাজার এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থীতদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় গাড়ি ভাংচুর, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর, মোটরসাইকেলে অি গ্ন সংযোগের ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’পক্ষকে ধাওয়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দু’পক্ষ থেকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।