ঢাকা, সোমবার ৬ মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

পর্যটন সুবিধায় তলানিতে বাংলাদেশ, বিদেশি পর্যটক টানতে বাধা অবকাঠামো-যাতায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৩:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

নদী, সাগর, পাহাড় আর প্রত্নতাত্ত্বিক প্রাচুর্য্যে ভরপুর এই বাংলাদেশ। তবুও আজ পর্যন্ত শক্ত ভিতে দাঁড় করানো যায়নি পর্যটন খাতকে। একদিকে ভিনদেশি পর্যটকদের ভিসা পেতে ভোগান্তি, অন্যদিকে দুর্বল অবকাঠামো ও যাতায়াত ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে পর্যটন সুবিধার বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানটা একেবারে তলানিতে। 

 

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, প্রত্নতত্ত্ব কিংবা সম্প্রীতির বন্ধন। কি নেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট এই দেশে?

 

প্রকৃতি এখানে উদার তার আপন মহিমায়। অথচ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সর্বশেষ তথ্য বলছে, পর্যটন সুবিধায় বিশ্বে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০০তম। এ তালিকায় ভারত ৫৪ আর পাকিস্তানের অবস্থান ৮৩তে।

 

গেলো বছর বাংলাদেশে এসেছেন পাঁচ লাখ বিদেশি। অবশ্য তাদের ঠিক কতজন শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই এসেছেন এ তথ্য কারো কাছেই নেই। আর অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ছিলো দুই কোটি।

 

বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, যেখানে টিকিট বিক্রি হয় সেখানেই আমরা প্রকৃত তথ্য পাই। অন্যগুলো হলো অনুমান নির্ভর। আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্টের ডাটা আমরা পাই সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছ থেকে। এটাকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছি। 

 

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পর্যটনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অবকাঠামো ও যাতায়াত। পাশাপাশি আছে গবেষণার অভাব।

 

আটাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসফিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, বাংলাদেশে যখন একজন মানুষ এন্ট্রি করছে সেটা বিভিন্ন বিষয়ে হতে পারে। এটা ট্যুরিস্ট, ব্যবসা, ফ্যামিলি ভিজিট হতে পারে। এখানে আসলে এই জিনিসটা মনিটর করার মতো বা এই ডাটা মেন্টেইন করার মতো কোনো কিছু এখনো আমার দেশে কোনো সংস্থাতেই নেই। 

 

টোয়াব সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, আমাদের দেশে ৬১ দেশের সঙ্গে অন অ্যারাইভাল ভিসার আয়োজন আছে। এ ভিসাটা এয়ারপোর্টে এসে অ্যাবেল করতে বেশ সময় লাগে। এই বিড়ম্বনাটা বিদেশিরা পছন্দ করেন না। 

 

পর্যটন সংশ্লিষ্ট কারো কারো ধারণা দেশে বহিঃর্বিশ্বের মতো বিনোদনের ঘাটতি আছে ফলে টানা যাচ্ছে না বিদেশিদের। যদিও তা মানতে নারাজ অনেকেই। তাদের ধারণা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ইতিহাস ও ঐতিহ্যই পর্যটক আকর্ষণে যথেষ্ট।

 

বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, খাবারের সঙ্গে পানীয় এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের দেশে নাই। আমরা ওইভাবে অ্যাবেইলেবল না সব জায়গায়। এই বিষয়গুলো অ্যাডজাস্ট করার জন্য আমরা সুপারিশ করছি। 

 

টোয়াব সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে কিন্তু কোনো ট্যুরিস্ট অ্যালকোহল খাওয়ার জন্য আসে না। আমরা এমন কোনো কালচার তৈরি করব না যা মানুষের ক্ষতি করে, আমার ট্যুরিস্টের ক্ষতি করে। নাইট ক্লাব বা ডিস্কো ক্লাব তৈরি করে ট্যুরিস্টের ক্ষতি করার পক্ষপাতি আমি নই। ট্যুরিজমের কোড অব কমান্ড বলে আপনি যেখানে যাবেন সেখানে সংস্কৃতিকে আপনাকে মূল্যায়ন করতে হবে। 

 

পর্যটনের বিকাশে হোটেল ও যাতায়াত ভাড়া কমানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বৃদ্ধির ওপর নজর দেয়ার পরামর্শ টোয়াবের।