প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও মহান বিজয় দিবসকে আনন্দঘন করতে নগরের রাস্তাঘাট ও স্থাপত্যগুলোকে প্রাণ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভা।তাই প্রধানমন্ত্রীর আসছেন চট্টগ্রামে ।প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিন বছর পর চট্টগ্রামে প্রথম জনসভায় অংশ নিচ্ছেন।
আর এই আগমন কে ঘিরে যেন দম ফেলার সুযোগ নেই চসিকেসহ বিভিন্ন দপ্তর ও দলীয় নেতা-কর্মীদের । কেউ কাজ করছেন পুরাতন রাস্তা মেরামতে।আবার কেউ ব্যস্তরাস্তায় জমে থাকা ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার করতে। নগরের ফ্লাইওভারগুলোও বিভিন্ন রঙে রঙিন করা হচ্ছে।বিভিন্ন স্থাপনায় জমে থাকা ময়লা ও দাগ,শ্যাওলা পরিষ্কার করতে কাজ করছেন একদল নিরলস আয়োজক।
প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানারের পাশাপাশি তোরণ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সজ্জিত করা হয়েছে। নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে জিইসি মোড়, কাজীর দেউড়ি মোড়, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, নিউমার্কেটসহ অন্যান্য এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সাজিয়েছেন ।
৪ ডিসেম্বর সকালে প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলায় জেলায় সফরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওইদিনই চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে ও নির্বাচনমুখী প্রচারণায় নামাতেই এই উদ্যোগ বলে জানালেন দলীয় নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে যৌথ বর্ধিত সভা করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা। নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে নগরীকে রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে সাজাচ্ছেন। মেয়র রেজাউল করিমের নির্দেশনায় আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার হতে এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের মাঝের অংশটির ল্যাম্প পোস্টে ৭০ এর নির্বাচনে বিজয় ও স্বাধীনতার প্রতিক নৌকার আকৃতিতে এলইডি বাতি লাগিয়ে আলোকসজ্জা করেছে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ।
দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামে কোনো জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই চট্টগ্রামের মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। এদিকে প্রতিদিনই মিনি ট্রাকে করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এছাড়াও নগরের মোড়ে মোড়ে, অলি-গলিতে চলছে মাইকিং।