বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, শুধুমাত্র প্রিণ্ট মিডিয়ার অভিভাবক প্রেস কাউন্সিল, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার নয়। প্রিণ্ট মিডিয়া নিয়েই কাজ করা হয়। সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন করার জন্য কাজ করছে। নানা সুবিধা অসুবিধার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। দেশের সকল জায়গাতেই একই অবস্থা সাংবাদিকরা নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। একজন সাংবাদিক যদি অন্যায় করেন আর তার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেন তখন প্রেস কাউন্সিল বিচার করে। কিন্ত প্রেস কাউন্সিলের শাস্তির কোন ক্ষমতা নেই, শুধু তিরস্কার জানাতে পারবে। তিরস্কার করলে তো ফরিয়াদী খুশি হবে না। শাস্তির বিধান রাখতে হবে। আর না হয় প্রেস কাউন্সিলে কেউ অভিযোগ করবে না। আদালতের দ্বারস্থ হবেন। দিন দিন মামলার সংখ্যা ও কমবে। আদালতে গেলে জেল জরিমানার সুযোগ থাকবে। আইন সংশোধন করে ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে মামলার সংখ্যা বাড়বে। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, সেই সন্মান বজায় রাখার জন্য বস্তু নিষ্ট সাংবাদিকতা করতে হবে । সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০ টায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জের প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণ বিধি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিত করন শীর্ষক সেমিনার ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের সুপার সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, প্রেস কাউন্সিলের সচিব মাসুদ খান, সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার আব্দুছ ছাত্তার প্রমূখ।