ফরিদপুরের মধুখালীতে লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ আবাদ হবে। উপজেলার মোট আবাদি ১৬,৫৫৮ হেক্টর জমির মধ্যে গত বছর পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্রা নিয়ে পেঁয়াজ রোপণ শুরু করেছে ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিরা। এতে চাষিদের মধ্যে রয়েছে খুবই ব্যস্ততা।
এলাকার সফল চাষি হারেজ শেখ গত বছর ৩০ পাখি ছয় একর ষাট শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে ১২০০ মন পেঁয়াজ ঘরে তুলেছেন, এখনো শতাধিক মন পেঁয়াজ ঘরে রয়েছে।
হাস্যোউজ্জল হারেজ শেখ বলেন দামের একটানা ঊর্ধ্বগতি থাকায় তিনি ৫০ লক্ষ টাকার মতো পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। তাই এ বছর পেঁয়াজ রোপণ করতে নেই কোন অর্থের ক্লান্তি। বেশ জোরালো কন্ঠে বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ৫০ শতাংশ বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করবো। তার আপন দুই ভাই ও তার সমপরিমাণ পেঁয়াজ লাগাবেন দাম ভালো পেলে একই পরিবার কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
হারেজ শেখের মতো অনেক উদ্যমী কৃষক আবু জাফর মন্ডল, উসমান খান,রজব আলী শিকদার, এরকম বহু পেঁয়াজ চাষির মধ্যে রয়েছে চাঙ্গা ভাব। ইতিমধ্যে মুড়িকাটা, কদম পিঁয়াজ লাগানো প্রায় শেষ, হালি পিঁয়াজের বীজতলায় মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দানা পেঁয়াজ রোপণ শুরু হবে।
প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, আগামীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বৈরী আবহাওয়ার শিকার না হলে পেঁয়াজর ফলন ভালো হবে, দাম ভালো পেলে স্বাবলম্বী হতে সময় লাগবেনা।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুব ইলাহী জানান, প্রান্তিক কৃষকের সহায়তায় আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি, সঠিক নির্দেশনা দিচ্ছি, কৃষকের মাঝে ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে, আগামী অল্প সময়েই কৃষক স্ব স্ব ভাবে প্রতিষ্ঠিত বহে। পেঁয়াজর ঘাটতি কমাতে মধুখালীর কৃষক বদ্ধ পরিকর।
বায়ান্ন/এসএ