সিলেটের দক্ষিণ জনপদ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যার আক্রমণ শুরু হয়েছে। বিপদসীমা থেকে ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ছুটছে কুশিয়ারা নদী (ফেঞ্চুগঞ্জ) নদীর পানি পাড় টপকে ঢুকে পড়েছে বাজার ও গ্রামে।
প্লাবিত করেছে কয়েকটি গ্রাম। হাটু পানি হয়ে গেছে থানা রোড থেকে পুর্ব বাজার পর্যন্ত। উপজেলা হাসপাতাল এলাকাও আক্রান্ত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের অন্তত ৬টি ওয়ার্ড বন্যা আক্রান্ত। ১৮টি পরিবার উঠেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ ফেঞ্চুগঞ্জ এর মাইজগাঁও সাবস্টেশনে পানি উঠেছে অন্তত এক হাত পরিমান।
ভেলকুনা সুড়িকান্দি সাইলকান্দি গ্রামের প্রায় ৫শত পরিবার পানিবন্দি বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য সুনাম হোসাইন।
সুলতানপুর গ্রামের অন্তত অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি বলে জানিয়েন ইউপি সদস্য আবকর হোসেন।
এদিকে ঝুঁকিতে পড়েছে উত্তর জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কুশিয়ারা নদীপার ঘেষা চান্দপুর-মল্লিকপুর-মীরগঞ্জ সড়কটির মল্লিকপুর এলাকা ইঞ্চি খানিক ভেসে আছে! অল্প পানি বাড়লে এ সড়কটি তলিয়ে গিয়ে ঝুকিতে ফেলবে বিকল্প সড়ক মল্লিকপুর-ইলাশপুরে।
ইলাশপুর ভায়া সড়কটি আক্রান্ত হলে সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে এই ব্যাপক জনপদের। বন্যার আক্রমণ হয়েছে উপজেলার দক্ষিন সীমানায়ও। হাকালুকি হাওর ঘেষা ঘিলাছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। হাকালুকি হাওরের ডেউয়ের ধাক্কায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় ৫থেকে ৭টি বাড়ি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা। তিনি জানান তার ইউনিয়নের খড়িয়াটিলা,মইমারা, পুর্ব যুধিষ্ঠিপুর,গাজিপুর (একাংশ), চান্দেরবান,ইসহাকপুর ইত্যাদি গ্রাম বন্যার শিকার হয়েছে। মোকামবাজা স্কুলও ধ্বসে পড়ার ঝুকিতে পড়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএনও ফারজানা প্রিয়াঙ্কা।