সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু উপজেলা হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়েন তারা।
রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের গাজীপুর, কোরবানপুর, আশিঘর গ্রাম ও পাশ্ববর্তী মাইজগাঁও ইউনিয়নের শরীফগঞ্জ, মাইজগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদেতর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কর হয়। কিন্তু সেখানে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়েন তারা।
বাধ্য হয়ে আক্রান্তরা স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনেছেন।
উপজেলার কায়স্থ গ্রামের শাহিন মিয়া জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ছয় বছরের তার ছেলে সাকিবকে পাগলা কুকুর কামড় দেয়। পরে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার ভ্যাকসিন একটি ফার্মেসি থেকে কেনার জন্য লিখে দেন।
তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে টাকা না থাকায় আমার পরিচিত একটি ফার্মেমি থেকে বাকিতে ১ হাজার ৫০ টাকার একটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসি। ডাক্তার বলেছেন প্রথম দিনে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। আমি গরীব মানুষ, এত খরচ করার সামর্থ্য আমার নেই।’’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাব্বির আহমদ বলেন, ‘‘রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত ৩০ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তারা উপজেলার ঘিলাছড়া ও মাইজগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকে না। কুকুরের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর এক মানুষকে পাগলা কুকুর কামড় দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
“পরে ওইদিন সন্ধ্যায় লোকজন বিয়ালীবাজারে কুকুরটিকে খুঁজে বের করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।’’