বগুড়ার গাবতলীতে ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে বিরোধের জের ধরে জাকির হোসেন (৩৫) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার দুুপুরে গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাহিরে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
নিহত জাকির হোসেন জাইগুলি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত লয়া মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন। নির্বাচনে তিনি মেম্বার প্রার্থী সাইদুল ইসলামের (টিউবওয়েল প্রতিক) সমর্থক হিসেবে কাজ করছিলেন। অন্যদিকে বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের ছ্ইাহাটা গ্রাামের কাটাখালী ভোট কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে গনণা করে ভোট ব্যালট বক্স, উপজেলা নিয়ে আসার চেষ্টা করে এসময় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে লাঠি চার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় মহিলাসহ ৩জন আহত হয়। তবে এখানে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে আহত একজন মহিলা ২জন মারা গেছে। পুরো এলাকা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ম্যাজিষ্ট্রেটসহ বিজিপি ও স্টাইকিং ফোর্স অবস্থান করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে ভোটারদেরকে উৎসাহিত করার কাজ করছিলেন সাইদুল ইসলামের ফুটবল প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা। এসময় সেখানে আরেক মেম্বার প্রার্থী মিঠু মিয়ার (ফুটবল প্রতিক) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে জাকির হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে জাকির হোসেন মারা যান। এঘটনার পর ভোট কেন্দ্র ও তার আশেপাশে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতংকে ভোট কেন্দ্র ফাকা হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলশ মোতায়েন করা হয়।
নিহত জাকির হোসেন রং করার কাজে ঠিকাদারী করতেন। নির্বাচন নিয়ে টিউবওয়েল প্রার্থীর পক্ষে নিজের ফেসবুক পেজে সে প্রচারকাজ চালাচ্ছিল। ওই ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
অপরদিকে বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের ছ্ইাহাটা গ্রাামের কাটাখালী ভোট কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে গনণা করে ভোট ব্যালট বক্স, উপজেলা নিয়ে আসার চেষ্টা করে এসময় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে লাঠি চার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় মহিলাসহ ৩জন আহত হয়। তবে এখানে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে আহত একজন মহিলা ২জন মারা গেছে। পুরো এলাকা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ম্যাজিষ্ট্রেটসহ বিজিপি ও স্টাইকিং ফোর্স অবস্থান করছে।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে গ্রামের মধ্যে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে।