তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচতে ভিন্ন পথ খুঁজছে চাষীরা।রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ বছর ব্যাপক চাষ হয়েছে ভুট্টার। আসছে উচ্চফলন। সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের ভুট্টা। প্রতিটি গাছে গাছে বাতাসে দোল খাচ্ছে এসব ভুট্টা। মাথায় লাল ফুল, গায়ে হলুদ বর্ণ। ভুট্টার হাসিতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদন বেশি ও খরচ কম বলে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। তাছাড়া পাহাড়ি ভুট্টা স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। তাই ভাগ্য পরির্বতন হয়েছে পাহাড়ি মানুষের। ধান, গম ও তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক কৃষক পরিবার।
এর মধ্যে বরকল উপজেলার ভুষনছড়ার এরাবুনিয়া সমন্বিত খামারের চাষী জসিম উদ্দিন নামক একজন চাষী প্রায় ১২ একর জমি জুড়ে উক্ত ফসলটির চাষ করছে।কৃষি অধিদফতরের কোন রকম সাহায্য সহযোগীতা ছাড়াই তামাক চাষ ছেড়ে নিজ উদ্যোগে হয়েছেন ভুট্টা চাষী।তিনি জানান বিগত বছরগুলোতে তামাক চাষের প্রভাবে তার স্ত্রীর ভিষন অসুস্থ হয়ে পড়ে।এরপর গতবছর থেকেই তিনি ১২ বিজিবি'র থেকে জমি লিজ নিয়ে ভুট্টা চাষ শুরু করেন এবং প্রথম বছরেই তিনি লাভের মুখ দেখেন।
এছাড়া কৃষি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে পরীক্ষামুলক সুর্যমুখী চাষেও দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষীরা।ফসল দুটির দামও যথেষ্ট ভালো পাচ্ছে কৃষক।তবে দুর্গম বরকলে সরাসরি পাইকারি ক্রেতা ও কৃষি অধিদফতরের সহয়তা পেলে অর্থকরী ফসল এসব ব্যাপক প্রসার ঘটবে ফসল দুটির।
সর্বপোরি তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এলাকার চাষীদের ফিরিয়ে আনতে বিক্ল্প চাষ ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো জুয়েল রানা জানান,আমরা তামাক চাষে চাষিদের নিরুৎসাহিত করে আসছি।বিকল্প চাষে কৃষকদের মনোনিবেশ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।