সিলেট জেলার পক্ষ থেকে সাম্প্রতিককালে সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব আন্দোলনকারী গুরুতর আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করেছেন।
সমিতির নেতৃবৃন্দ এক মতবিনিময় সভায় বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তাদের দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। এসব মেধাবী ছাত্ররা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এসব ছাত্রদের নিয়ে তাদের পরিবারের বুক ভরা স্বপ্ন ও অনেক প্রত্যাশা ছিলো। মা-বাবা ও অভিভাবকরা নিজের সামর্থ্য ও আন্তরিকতা দিয়ে সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় প্রহর গুনছিলেন। এ অবস্থায় সন্তানদের অনাকাঙ্খিত এসব মৃত্যু তাদের পরিবারের সুন্দর আগামীর স্বপ্নকে তছনছ করে দিয়েছে। সন্তান, ভাই ও স্বজন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব পরিবার।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি
সিলেট জেলা শাখার পক্ষ থেকে আন্দোলনে নিহতদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাথে সাথে স্বজন হারানোর বেদনা সহ্য করার মতো ধৈর্য্য ধারনের ক্ষমতা দানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ
সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকায় মঙ্গলবার আন্দোলনের বিজয় উল্লাসকে পুঁজি করে নির্বিচারে দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও বাসা-বাড়ীতে ভয়াবহ তান্ডবের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা চরম অনিশ্চয়তা ও রুজি রোজগার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। দোকানপাট খুলতে না পারায় ছোট বড় ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেই অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলার উদ্যোগে সমিতির মহাসচিব আব্দুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে¡ নগরীতে মতবিনিময় সভা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। নগরীর বিভিন্ন স্তরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটের সামনে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার আহ্বান জানানো হয়। প্রচারণাকালে আজ বুধবার থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে সকল ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার আহ্বান জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিকভাবে দোকান পাট খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় বিএনিপর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সর্বাবস্থায় আমরা আমাদের সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
তারা বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর অত্যন্ত নিন্দনীয়, ব্যবসায়ীরা আমাদের ভাই, বন্ধু-স্বজন। জীবন-জীবিকার তাগিদে ব্যবসায়ীরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা বা লুটপাট কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ সর্বক্ষেত্রে ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়ে আন্দোলনের সুফল পেতে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে নতুন করে শপথ নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘূদের প্রতি ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের জানমাল রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। কারণ তারা এদেশের নাগরিক। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সব সময়ই সংখ্যালঘু লোকজনদের পাশে রয়েছেন। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও বাস্তবতা।
মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক প্রচারণাকালে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, দি
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, সাবেক পরিচালক হিসকিল গোলজার, পরিচালক আলিমুল এহসান চৌধুরী, মেট্রোপলিন চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলার মহাসচিব আব্দুর রহমান রিপন, মো. আবুল হোসেন, মুফতি নেহাল উদ্দিন, আব্দুল মুনিম মল্লিক মুন্না, মো. আনিছ, মো. কয়ছর আলী, ফুয়াদ বিন রশীদ, মো. আলী আকিক, মো. আব্দুস সুবহান, সমিতির ১ম যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হাদি পাবেল, আব্দুর রহমান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রাসেল আহমদ, মো. মারুফ আহমদ, মো. শাহজাহান, জাবেদ আহমদ, হোসেন আহমদ, সাংগঠনিক সচিব নিয়াজ মো. আজিজুল করিম, কোষাধ্যক্ষ নাহিদ আহমদ, মনির আহমদ, এম.জি সুহিন, মনজুর আহমদ, হোসেন আহমদ, জাবেদ আহমদ, মীর মো. জাকারিয়া, রাজু আহমদ, মো. আলেক মিয়া, রাসেল আলী, জায়েদ খান, ছালেহ আহমদ শাহীন, হোসাইন আহমদ লস্কর, শাহেদ বক্স, মো. জিয়াউর রহমান, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আব্দুল খালিক রহিম প্রমুখ।