রাজশাহীর বাগমারায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন বর্তমানে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এই ঘটনায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে গতকাল থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগমারার নরদাশ ইউনিয়নের সুজন পালশা গ্রামের মৃত সদর উদ্দিনের ছেলে এলাকার প্রভাবশালী বাবলুর রশিদ একই গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে মোতাহার হোসেনের ওয়ারিশদের নিকট থেকে সম্প্রতি জমি ক্রয় করেন। আদালত কর্তৃক বাটোয়ারা দলিল মূলে ওয়ারিশদের প্রাপ্য অংশের জমি ক্রয়কৃত মালিক বাবলুর রশিদকে তার প্রাপ্য অংশ দখলও বুঝে দেয়া হয়। কিন্তু বাবলুর রশিদ আদালত কর্তৃক ওই বাটোয়ারা দলিল অমান্য করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মোতাহার হোসেন ও তার ভাইদের অংশের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে গত ৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সুজন পালশা গ্রামের হাবিব মাষ্টারের বাড়ীর সামনে বাবলুর রশিদ ও মাসুদ রানার নেতৃত্বে তাদের ভাড়া করা ৪/৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোতাহার হোসেনের চাচা আজাদ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আজাদ হোসেনের চিৎকারে তার ছোট ভাই রহিদুল ইসলাম ছুটে আসলে হামলাকারীরা তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে অল্পের জন্য তারা প্রানে বেঁচে যান। পরে রক্তাক্ত আশংকাজনক অবস্থায় রহিদুল ইসলামকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এই ঘটনায় পরেরদিন আহত রহিদুল ইসলামের ভাতিজা মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে বাবলুর রশিদ ও মাসুদ রানাসহ এলাকার চিহ্নিত ৫ জন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন বর্তমানে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভূগছেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, দুই ভাইকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া মাত্র তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।