বালিয়াডাঙ্গীর আবুর কথা শুনে রাতেই ছুটে গেলেন ইউএনও। বাঁশের চাটাইয়ের একটি ঘরে কাঠের একটি খাটে নেই কোনো বিছানা। এমন ছবি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেনকে খোঁজ নিতে নির্দেশ দেন।
খোঁজ পাওয়ার পর গত বুধবার রাতে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলহাট এলাকায় ছুটে যান ইউএনও। শীতার্ত ওই যুবককে শীতবস্ত্র ও খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন তিনি। বুধবার রাতে এমন দুটো ছবি ইউএনওর অফিশিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ও বালিয়াডাঙ্গীর ইউএনও।
জানতে চাইলে ইউএনও যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘ডিসি স্যার ইনবক্সে ছবিটা দিয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা বললে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী মাধ্যমে খুঁজে বের করি। রাতে স্কুলহাটের পাশে একটি ঝুপড়িতে তাকে পাই। শীতবস্ত্র ও খাবার প্রদান করা হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘শীতার্ত ওই যুবকের নাম আবু। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও কথা বলতে পারেন না। ১০ বছরের বেশি সময় স্থানীয় দরজি আনসারুলের কাছে থাকেন। দরজি তাঁর দেখভাল করেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে দরজিকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।’
দরজি আনসারুল ইসলাম বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন আবুর খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় দেখাশোনা আমি করি। তবে এমন ছবি কে তুলে ফেসবুকে দিয়েছে আমার জানা নেই। ইউএনও স্যার এসেছিলেন। সহযোগিতা করার কথা বলেছেন।’ ইউএনওর এমন উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আনসারুল।