নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন মেম্বার, নিহতের ছেলে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ তোতা প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তোতা চেয়ারম্যান দুঃসময়ে ওতোপ্রোতভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ৬৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগী পরিবারে হতাশা দেখা দিয়েছে। উল্টো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকের অর্থায়নে নিহত বিএনপি নেতা তোতার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা ধর্ষণ মামলাসহ ৮টি মামলায় জড়ানো হয়। ফ্যাসিবাদের দোসর রাজ্জাক চেয়ারম্যানসহ তার সহচররা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফ্যাসিবাদ শক্তির ইশারায় অদৃশ্য কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের এক মাস পরে আমি এই থানায় যোগদান করি। আসামিরা কেউ এলাকায় নেই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরএলাহী বাজারে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মেম্বার, চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের যোগসাজশে একদল অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে আহত করে। চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে