সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৫ জুন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ১০ প্রার্থী। এসব প্রার্থীদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধেই কোনো মামলা নেই, আগেও ছিল না। প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জন স্বশিক্ষিত, একজন পঞ্চম শ্রেণি পাস। নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত প্রার্থীদের হলফনামা থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ প্রার্থী। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে, গত ২৬ মে দুজন প্রার্থী সরে দাঁড়ান। একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের পিন্টু, অপরজন বিয়ানীবাজার সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ।
সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে পিন্টু জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, নেবে না। দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।
অন্যদিকে মাসুক আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুল হককে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এখন নির্বাচনী দৌড়ে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জন দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আব্দুস শুকুর, জাতীয় পার্টির মো. সুনাম উদ্দিন ও কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
বাকি ৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- মো. আব্দুল কুদ্দুছ, ফারুকুল হক, মো. তফজ্জুল হোসেন, মো. আব্দুস সামাদ আজাদ, মো. আব্দুস সবুর, আহবাব হোসেন ও মো. অজি উদ্দিন। এর মধ্যে আব্দুল কুদ্দুছ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়র প্রার্থীগণ নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দাখিল করেছেন। হলফনামার তথ্য বলছে, ১০ মেয়র প্রার্থীর একজনের বিরুদ্ধেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। অতীতেও তাঁরা কেউ কোনো মামলার আসামি ছিলেন না।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জন স্বশিক্ষিত। অর্থাৎ, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তাঁদের নেই। এই তিনজন হলেন- মো. তফজ্জুল হোসেন, মো. আব্দুস সবুর ও মো. অজি উদ্দিন। এ ছাড়া মো. সুনাম উদ্দিন পঞ্চম শ্রেণি পাস।
বাকিদের মধ্যে মো. আব্দুস সামাদ আজাদ এমএসএস পাস, মো. আব্দুল কুদ্দুছ ও মোহাম্মদ আবুল কাশে বিএ পাস এবং মো. আব্দুস শুকুর, ফারুকুল হক ও আহবাব হোসেন এইচএসসি পাস।
এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কারোরই কোনো দায়-দেনা নেই। অর্থাৎ, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কিংবা কোনো ব্যক্তির কাছে আর্থিকভাবে তাঁরা ঋণী নন।