ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক ১৪৩১

বেনাপোল বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

মনির হোসেন, বেনাপোল | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক কার্গো টার্মিনালটি অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ৪১ একর জমিতে টার্মিনালটির মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা।

অন্তবর্তীনকালীন সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়েত হোসেন কার্গোভেহিকেল টার্মিনালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, উপদেষ্টা মহোদয় বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে বন্দরের অডিটরিয়ামে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে মত বিনিময় সভায় মিলিত হবেন। বিকাল ৪টায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, জমি অধিগ্রহণপূর্বক প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয় ৩২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় পার্কিং ইয়ার্ড, কার্গো ভবন, বন্দর সেবা ভবন, ইউটিলিটি ভবন, ফায়ার স্টেশন, ওয়েব্রিজ স্কেল, আধুনিক শৌচাগার কমপ্লেক্স, চিকিৎসা, রান্না ও বিশ্রামের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে কাজ করেছে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

২৪ একর জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১০৯ কোটি ও নির্মাণকাজ বাবদ ২২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এখানে প্রায় এক হাজার ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখার ধারণ ক্ষমতা থাকছে। 

টার্মিনালটি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ দিয়ে। 

এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় সাত থেকে আট হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। এটি চালু হলে বন্দরে দীর্ঘদিনের পণ্যজট ও যানজট কমে যাবে। বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়বে। ফলে বন্দরে আসা ট্রাকের মালামাল দ্রুত লোড-আনলোড সম্ভব হবে। এতে একদিকে পণ্যজট ও যানজট কমবে, সেইসঙ্গে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে। উপদেষ্টা মহোদয়ের উদ্বোধনের পর টার্মিনালটি চালু করা হবে। টার্মিনালটি চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা ও রাজস্ব আয় বাড়বে। কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণে সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে বুয়েট, কুয়েট এবং নিজস্ব ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মো. শামছুর রহমান বলেন, টার্মিনাল চালু হলে দীর্ঘদিনের যানজট ও পণ্যজট কমে যাবে। প্রায় ১৫শ’ ট্রাক একসঙ্গে রাখতে পারায় পণ্য দ্রুত খালাস সম্ভব হবে। ভারতীয় ট্রাক পণ্য নামিয়ে চলে যেতে পারবে দ্রুত। পণ্য ছাড় করতে দেরি হলে আমদানিকারকদের যে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো, সেটি আর লাগবে না। আর যত বেশি পণ্যবাহী ট্রাক আনলোড হবে, সরকার ততবেশি রাজস্ব পাবে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে