ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার ভারতীয় নাগরিকসহ পাঁচ চোরাকারবারী আটক

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় ও হুইস্কী নিয়ে আসা চার ভারতীয় নাগরিকসহ পাঁচ চোরাকারবারীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সোপর্দ করা হয়েছে পুলিশে।
 
 
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে জেলার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন এলাকা থেকে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন ভারতের কলকাতা রাজ্যের নারকেলডাঙ্গার ডা. এম.এন. চ্যাটার্জী সরণী এলাকার আমানত হুসাইন (৫২) ও একই এলাকার মো. আদিল (২৫), নারকেলডাঙ্গা উত্তর রোডের আকিল আহমেদ (৪৫), কেশব চন্দ্র সেন রোডের মো. তৌসিফ আন্সারী (২৮) এবং বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. স্বপন (৩০)।
 
 
র‌্যাব প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে আখাউড়া উপজেলার ধরখার এলাকায় তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে ব্যাপক তল্লাশি চালায় র‌্যাবের আভিযানিক দল। সন্দেহভাজন একটি হায়েস গাড়ি আটকে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশীকালে গাড়ি থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ পিস ভারতীয় অন্তর্বাস, ১২০ পিস ভারতীয় থ্রি পিস, চার বোতল হুইস্কী, দুই বোতল মদ, নগদ ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশলে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় থ্রি পিস, অন্তর্বাস, হুইস্কি ও বিয়ার জাতীয় মাদকদ্রব্য দেশের অভ্যন্তরে এনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে আসছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণশেষে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
 
 

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পরিচালক রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় এসব পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের কর আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।