সিলেট বিএনপির ঘরের প্রিয়মুখ মিফতাহ সিদ্দিকী। মাঠের সাহসী নেতাও। ছাত্র জমানা থেকে সিলেটের মাঠে ছাত্রদলের রাজনীতি করে নেতাকর্মীদের কাছে আস্থাভাজন হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। অসহায় কর্মীদের কাছে তিনি দুর্দিনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। যার প্রমাণ রেখেছেন গত ১৫ বছর ধরে। করোনার সময় অসহায় কর্মীদের ঘরে ঘরে ছুটে গেছেন। একই সাথে কর্মহারা মানুষের ঘরে সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার কাজ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডজন ডজন মামলার আসামি হয়েছেন। একাধিক মামলার আসামি হয়েও তিনি মাঠ ছাড়েননি। যখনই কর্মসূচি এসেছে, তখনই মাঠে দেখা গেছে মিফতাহ সিদ্দিকীকে। বাধা অতিক্রম করে কর্মসূচি পালন করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এজন্যে বেশ কয়েকবার ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়েছিল মিফতাহ সিদ্দিকীকে। কয়েকবার বন্দুকের নল তাক করা হয়েছিল মিফতাহ সিদ্দিকীর প্রতি। কিন্তু ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন তিনি। বন্দুকের নল তোয়াক্কা না করে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বিপর্যস্ত ওই অবস্থার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে ছুটে গেছেন তিনি।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বিএনপির দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। পদ দুইটির দায়িত্ব দেয়া হয় অতি সম্প্রতি। গত ১৫ জুন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মিফতাহ সিদ্দিকীকে। কিছুদিন না যেতেই মিফতাহ সিদ্দিকী আরো গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব লাভ করেন দলের। গত ২ আগস্ট সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় মিফতাহ সিদ্দিকীকে। ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক এডভোকেট তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওইদায়িত্ব লাভের পর আরো একধাপ এগিয়ে যান তিনি। আন্দোলনের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট থেকে সিলেট নগরজুরে ক্লান্তিহীন ছুটে চলেছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। নগরীর স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন। নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার জন্যে। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানান। কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সেদিকে নজর রাখার জন্যে বলছেন। সাধারণ নাগরিকদের কাছে মোবাইল ফোন নম্বর দিচ্ছেন। আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওইভাবে তিনি নগরবাসীর কাছে ছুটে যাচ্ছেন।