বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত শোকাহত। ভারত শেখ হাসিনার জন্য খুব কষ্ট পেয়েছে। ভারত ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে আবার দেশে ফিরে এনে ক্ষমতায় বসানোর।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ৪র্থ খেলায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেল জুলুমকে মেনে নিয়েই দেশেই ছিলেন এবং আছেন। আর শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনা আর বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।
তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়াতে একটি স্বাধীন দেশ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে শুধু শেখ হাসিনার জন্য। ভারতকে বলবো শেখ হাসিনার প্রতি যদি এত মায়া তাহলে ভারতে তার জন্য আর একটা তাজমহল তৈরি করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সর্তক থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অচিরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। একজন মেয়রের বাড়ি থেকে ভাত আনতে রাষ্ট্রের মাসে ২৫ লাখ টাকা খরচ। এটা ভাবা যায় দুর্নীতি কত হয়েছে তাহলে?
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ জনগণের গণতন্ত্র হরণ করে তাদের নিজস্ব লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছে। পুলিশের একজন আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক আর একজন মন্ত্রীর দেশের বাহিরে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি। আওয়ামী লীগের মেয়র তার মেয়েকে হিট অফিসার হিসাবে নিয়োগ দিলেন। পরে দেখি হিট অফিসার স্বামীর আরো বেশি হিট।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছেন, বিরোধী মতের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো দেশ পরিচালনা করেছেন ও ব্যাংক লুট করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু, এখন ভারতে পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তাই ফ্যাসিবাদ ফের যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হকসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে