নেপাল থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য শিগগিরই অনুমতি দেবে ভারত। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির এক মাস পর এ খবর জানালেন নেপালের জ্বালানি ও পানিসম্পদ মন্ত্রী দীপক খাড়কা। সম্প্রতি ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নেপালের জ্বালানি মন্ত্রী দীপক খাড়কা ৩-৬ নভেম্বর ভারতের জ্বালানি মন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী সি আর পাতিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তাঁরা জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ নিয়ে সহযোগিতার অগ্রগতি এবং নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
গত ৬ নভেম্বর দেশে ফেরার পর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীপক খাড়কা বলেন, "নেপাল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতের ট্রান্সমিশন লাইনের অনুমতি চেয়েছে, এবং ভারত এই অনুরোধ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।" তিনি আরও জানান, ভারতীয় পক্ষ থেকে শিগগিরই এ অনুমতি মিলবে বলে আশাবাদী নেপাল।
এর আগে ৩ অক্টোবর কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির অধীনে, জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এ চুক্তি প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি বড় পদক্ষেপ এবং তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এটি আমাদের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সহায়ক।”
বায়ান্ন/এএস/একে