মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সাভারের বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্দোলন নামেন শ্রমিকেরা। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ইটপাটকেল, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও পুলিশের গুলিতে শ্রমিক আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এদিকে গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু কারখানায় এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, শিমুলতলা, ছয়তলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এতে গুলিবিদ্ধরা হলেন– এনভয় গার্মেন্টসের শ্রমিক নজরুল ইসলাম, ভার্চুয়াল গার্মেন্টসের শ্রমিক সীমা আক্তার, পথচারী বিমল শীল ও মজনু মিয়া। তবে আহত বাকিদের তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, সকালে মজুরি বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবিতে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ছয়তলা এলাকায় আসেন তাঁরা। আসার পরপরই গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ তাঁদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অনেককেই ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ওপর কেন গুলি চালাবে? আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।’
নারী ও শিশু হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের প্রধান ডা. জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘গুলিবিদ্ধসহ আহত অবস্থায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিককে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে ৪-৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। তাদের মধ্য নজরুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মাথায় গুলিবিদ্ধ ছিল। তাকেসহ কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বেশ কিছু কারখানায় এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাজোয়া যানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’