ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

মাছ ব্যবসায়ীদের মাছ বোঝাই ডালা ফেলে দিল পুলিশ সদস্য!

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:২৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের মাছসহ ডালা ফেলে দিলেন পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ঘাটের মাছ বাজারে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ উঠা পুলিশ সদস্য তৌহিদুল ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানায়, বাজারে মাছ ব্যবসায়ীকে একটি অটোরিক্সা ধাক্কা দেয়। এতে ওই অটোরিক্সায় থাকা এক মহিলা ও এক ব্যক্তির সাথে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে অটোরিক্সার ওই ব্যক্তিকে চড় মারেন মাছ ব্যবসায়ী ওকু মিয়া। পরে বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তির কাছে মাপ মুক্তি চেয়ে সমাধান করা হয়। পরে ওই ঘটনার জেরে গোবিন্দাসী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য তৌহিদ মাছ বাজারে গিয়ে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করেন মাছ ব্যবসায়ীদের। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য বাজারে থাকা কয়েকজনের মাছসহ ডালা ফেলে দেয়। এসময় ফেলে দেয়া ওই দৃশ্য দুইজন ব্যক্তি ভিডিও করলে তাদের ফোনও কেড়ে নিয়ে সড়কে ছুড়ে ফেলেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যকে বাজারের একটি দোকানে আটকিয়ে রাখলে ফাঁড়ির আইসির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

গোবিন্দাসীর মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বুদ্ধু আকন্দ জানান, ওই পুলিশ সদস্য বাজারে এসে মাছ ব্যবসায়ী ওকুকে হাজির না করায় আমার জামার কলার ধরে মাছ বাজারে নিয়ে যান। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আমাদের বাজার থেকে চলে যেতে বলেন। তিনি কয়েকজন ব্যবসায়ীর মাছ রাস্তায় ফেলে দিয়ে ডালা উল্টিয়ে দেয়।

 

অভিযোগ উঠা গোবিন্দাসী নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য তৌহিদুল বলেন, মহিলার অভিযোগ পেয়ে আমি বাজারে যাই। এ সময় ব্যবসায়ীদের আমি বকাবকি করেছি। মাছের ডালা ফেলে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।  

গোবিন্দাসী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে এক মহিলা এবং তার সাথে থাকা এক ব্যক্তির সাথে ঝামেলা বাঁধে। এতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে মহিলা ও ব্যক্তির কাছে মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশের সাথে মাছ ব্যবসায়ীদের কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয়নি। 

 

এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের টাঙ্গাইল রিজিওনের পুলিশ সুপার ডিএম হারুন অর রশীদ জানান, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্তপূর্বক ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।