ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাতামুহুরী থানা আ:লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশাল ‘বিজয় শোভাযাত্রা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৩২:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ডিসেম্বর) দুপুরে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা পশ্চিম বড় ভেওলাস ইউনিয়স্থ দরবেশকাটা ষ্টেশন থেকে মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের নেতৃত্বে শুরু করা হয়।  

 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রাটি বদরখালী-মহেশখালী সড়ক প্রদক্ষিণ হয়ে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। 

পরে বিজয় শোভাযাত্রা পরবর্তী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ডেমুশিয়া ইউনিয়নের

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম মঈন উদ্দিন চৌধুরী, মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোলতান মোহাম্মদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদু জলিল, বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, সাধারণ সম্পাদক একে ভুট্রো সিকদার, পশ্চিম বড় ভেওলার সভাপতি ডা.গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, আ:লীগ নেতা সোলতান আহমদ মেম্বার, ফোরকানুল ইসলাম খোকা, পূর্ব বড় ভেওলার সভাপতি নুরুল আমিন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, সাহারবিল ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল কাদের মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মেম্বার, ডেমুশিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহিববুল্লাহ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, তরুণ আ:লীগ নেতা সোহরাব মোস্তফা লিমন, কোনাখালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, আ:লীগ নেতা মনোয়ার আলম, আক্তার হোসেন, বিএমচর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মাষ্টার সরোয়ার আলম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আনছারুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কাইছারুল হক বাচ্চু, কৃষকলীগের সভাপতি হাসান আলী , সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের, থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আজমগীর মুছা, জসিম উদ্দিন টিটু, হাসান আলী কোম্পানি,

পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বিজয় শোভাযাত্রায অংশ নিয়েছেন। 

 

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছিল স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। আজ সারাদেশ ব্যাপী সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ সেইদিন দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। আমরা জাতি হিসেবে পেলাম লাল সবুজের পতাকা ও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিগত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। দুর্বার গতিতে, নানা অর্জনের মধ্য দিয়ে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ জীবন দিয়ে যে স্বাধীনতা লাভ করেছে, তা আজ বাংলাদেশকে দেখে সমগ্র বিশ্বই বিস্মিত হচ্ছে। উন্নয়নের এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।