এক বছরের মাদক মামলার রায়ে সাজা হয়েছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার অহিদাবাদ চা বাগানের কমল খংলা'র(৩৫)। তবে আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে পারিবারিক পরিবেশে একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের আদেশে মুক্ত হয়েছেন কমল। একই সঙ্গে তাকে তিনটি ফলজ গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং, বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের উদ্যোগে কমল খংলার হাতে একটি আম, পেয়ারা ও জি-৯ উন্নত জাতের কলা গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কমল খংলার (৩৫) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা ছিল (নম্বর জিআর ৪০/২২)। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারকের রায়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থেকে কমলের এক বছরের সাজাভোগ শুরু হয়। এই সময় বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বন বিভাগের স্থানীয় নার্সারিতে কাজ করতেন কমল। গত ৩১ আগস্ট তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। প্রবেশন চলাকালে কমল সব শর্ত পূরণ করায় মেলে মুক্তির সাধ।
মুক্তি পেয়ে কমল খংলা, তাঁকে পরিশুদ্ধির সুযোগ করে দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, প্রবেশনের সব শর্ত মেনে খুব ভালোভাবে এই এক বছর বন বিভাগের নার্সারিতে কাজ করেছেন কমল খংলা।