আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে গুম-খুন হওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করবে বিএনপি। বর্তমান পরিস্থিতিসহ নানা বিবেচনায় এবারের মানববন্ধন কর্মসূচিকে দলটি একটু ভিন্নভাবে দেখছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হবে।
মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের আবার মাঠের জমায়েতে ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। এর মাধ্যমে সরকার ও পুলিশের আচরণ কী হয় এবং এর ভিত্তিতেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করাই দলটির লক্ষ্য।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো মনে করছে, দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রধান দলগুলো অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এসব রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে এবারের মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধন কর্মসূচিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানবাধিকার দিবসে যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা আসে তাহলে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে গতি আরও বাড়বে। আর কোনো ঘোষণা না আসলে আন্দোলন নেতিবাচক মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সব বাধাবিপত্তি প্রতিহত করে এই মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে নির্যাতনের শিকার, গুম- খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নন, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং প্রতিবাদমুখর লোকজনও সরকারের নির্যাতন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন।
মানবাধিকার দিবসে গণতন্ত্র মঞ্চ বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলেও জানা গেছে। মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীও। তবে দলটি কোথায় এ কর্মসূচি করবে, তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে তাদের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক এবং বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
চলতি বছরের গত ২৫ মে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধা দিলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ভিসা নীতি কার্যকর করার কথাও জানানো হয়।