মৌলভীবাজারের রাজনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আদিল মিয়া (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ২৯ মে ২০২৪ ইং, দুপুর ২টার সময় উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের পরচক্র গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্র রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের পরচক্র গ্রামের প্রবাসী ছালিক মিয়ার একমাত্র সন্তান। সে বিগত এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল আদিল মিয়া (১৮)।
আর আহতরা হলেন একই গ্রামের অটোরিকশার চালক হামিদ মিয়া (৩৫) ও রুবেল মিয়ার ছেলে রুপন মিয়া (১৬)।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টার সময় রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের পরচক্র গ্রামের অটোরিকশার চালক হামিদ মিয়া (৩৫)। তিনি তার অটোরিকশার ব্যাটারি নিজ ঘরে বৈদ্যুতিক বোর্ডে চার্জে লাগাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান। দ্রুত তার স্ত্রী শাপলা বেগম তাকে ছাড়াতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে যান। দুজন একসাথে টিন সেডের ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছটপট করতে থাকলে পাশের ঘরের রুবেল মিয়ার ছেলে রুপন মিয়া (১৬) তাদের ছাড়াতে এসে সেও স্পৃষ্ট হয়ে যায়।
এ সময় বাড়িতে থাকা কলেজছাত্র আদিল মিয়া (১৮) ছটফট করার শব্দ শুনে দৌড়ে এসে তাদের ছাড়াতে গেলে সেও তাদের সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ির অন্য লোকজন এসে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার আদিলকে মৃত ঘোষনা করেন এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় রুপন মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরের সময় হামিদ মিয়া তার টিন সেডের ঘরে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং তাকে ছাড়াতে পরপর তিনজন স্পৃষ্ট হন। তাদের মধ্যে আদিল মিয়া নামের কলেজ ছাত্র হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। আহতদের মধ্যে একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে এবং দুজনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলে তিনি জানান।