ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ময়মনসিংহে নারীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ জুলাই ২০২২ ০৫:৩০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে খুকি আক্তার নামের এক নারীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই সদস্যরা। গত মঙ্গলবার নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মামলার ১নং আসামী খোকন মিয়া কাজল ও তার স্ত্রী ২নং আসামী নাসিমা আক্তার কনা। 

বুধবার পিবিআই থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পিবিআই ও মামলার তথ্য বিবরনীতে জানাযায়, সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া পূর্বপাড়ার গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০) গত ১৯ জুন একই গ্রামে খোকন মিয়া কাজলের মেয়ে খুকি আক্তারের (২০) সাথে প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে। খুকি আক্তারকে ফিরে পাওয়ার জন্য তার বাবা খোকন মিয়া কাজল ও মা নাসিমা আক্তার কনা সিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুর রশিদ ও মা লাইলী বেগমকে চাপ দিতে থাকে। অন্যথায় তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও মেয়ে খুকি আক্তারকে ফিরে না পেয়ে তার বাবা খোকন মিয়া কাজল ও মা নাসিমা আক্তার কনা অন্যান্য লোকজন নিয়ে গত ২৮জুন সকালে আব্দুর রশিদের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে একা বাড়িতে থাকা প্রেমিক সিরাজুল ইসলামের মা লাইলী আক্তারের মুখ চেপে ধরে হাত, পা বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। ভিকটিম লাইলী আক্তার ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংসভাবে পুড়িয়ে এই হত্যাকান্ডের সংবাদটি গুরুত্বের সাথে ছাপা হওয়ায় পিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। প্রাথমিকভাবে থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের সহযোগী এজাহারনামীয় ৪নং আসামী জাহাঙ্গীর ও ৭নং আসামী আছমাকে গ্রেফতার করলেও মামলার মূল আসামী খোকন মিয়া কাজল ও ২নং আসামী নাসিমা আক্তার কনা সুচতুরভাবে নিজেদের আত্মগোপন করে রাখে।

তদন্তকালে ময়মনসিংহ জেলার পিবিআইয়ের টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি টিমের সহযোগীতায় মঙ্গলবার নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যারকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বিকার করেছে। বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।