ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই যাত্রী সংকটে পড়ছে রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। বিশেষ করে গাবতলীর কাউন্টারগুলো যাত্রী সংকটে পড়েছে। রোববার (১ মে) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাবতলীর বিভিন্ন কাউন্টারের শ্রমিকরা যাত্রীদের ডেকেও টিকিট বিক্রি করতে পারছেন না। যাত্রী দেখলেই বিভিন্ন কাউন্টারের শ্রমিকরা কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছে কোথায় যাবেন? যাত্রীদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে আবারও নিজ কাউন্টারের সামনে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ঘরমুখী মানুষের চাপ না থাকায় পরিবহন শ্রমিকদেরও মন খারাপ। প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী না পাওয়ায় নিজেদের ক্ষতির কথা জানিয়েছেন কেউ কেউ।
দর্শনা ডিলাক্স কাউন্টারের শ্রমিক সোলেমান বলেন, এবার আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কারণ করোনা পরবর্তী সময়ে এবার ঈদটা স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। যার ফলে সব মানুষ ঈদ করতে বাড়িতে যাবে। আর এ সুযোগে আমাদের টিকিট বিক্রিতে চাপ থাকবে বলে প্রত্যাশা ছিল।
তিনি বলেন, গত ২৮ এপ্রিল বেশি চাপ ছিল। এরপর আর চাপ নেই। ডেকে ডেকেও টিকিট বিক্রি করতে পারছি না। তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষ লোকাল বাসে রাজধানী ছাড়ছে। কারণ বেশিরভাগ যাত্রী এখান থেকে লোকাল বাসে ঘাটে যাচ্ছেন। ঘাট পার হয়ে ওপার থেকে অন্য বাসে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবারই ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দুই থেকে তিনটি গাড়ি নামাতে হয়। তবে এবার যেই গাড়িগুলো চলছে সেগুলোই যাত্রী পাচ্ছে না। আজকে সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের যতগুলো বাস ছেড়েছে, সবগুলোই ফাঁকা গেছে। একটা গাড়িও ভরে যেতে পারেনি।
অউঠঊজঞওঝঊগঊঘঞ
১০০%
গ্রিন লাইন কাউন্টারের আরিফ নামের এক শ্রমিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকিটের অভাব নেই। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যাত্রী নেই। কোন গাড়িই সিট অনুযায়ী যাত্রী পাচ্ছে না। প্রতিটি গাড়িই ফাঁকা যাচ্ছে। যার ফলে গাড়ির সিডিউল পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
মাগুরাগামী সৈকত নামের এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। কাউন্টারে এসে টিকিট কেটেছি। ভালো সিট পেয়েছি। অন্যান্যবার তো ঈদের সামনে বাসের টিকিট সোনার হরিণ হয়ে যায়। আমাদের লাইনের সব বাসের টিকিট সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। ভোগান্তি ছাড়া টিকিট পাওয়ায় ভালো লাগছে।