রাঙামাটি আদালতে আওয়ামী পন্থী পিপি, এপিপি এবং নবগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে বিতর্কিত সদস্য নিয়োগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাঙামাটি জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্র সংগঠনটি রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেইটে অবস্থান নিয়ে এবং কার্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ করে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানসহ জোরালো প্রতিবাদ জানায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি, এপিপি এবং পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং নব গঠিত জেলা পরিষদে রাজনৈতিক নেতাদের ঘনিষ্ঠ, বিগত স্বৈরাচারীর সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগীদের নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে শহীদের আদর্শকে অবমাননা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর খুনির দোসরদের এসব পদে বসানো শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
এসময় তারা আরও বলেন, খুব সুকৌশলে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাছাড়া রাঙামাটি জেলা পরিষদ আমাদের পার্লামেন্ট এইখানে যে বৈষম্য হয়েছে তা কখনই কাম্য নয়। ১৫ জন সদস্যের ৯ জনই সদরের। এমনকি সদর থেকেই ৫ জন নারী সদস্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ ৪ উপজেলা থেকে কোন প্রতিনিধিই নেওয়া হয়নি। এতে অন্যান্য উপজেলার জনগণ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া এই পরিষদের বেশীরভাগ সদস্যই বিতর্কিত এবং সাধারণ মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে