দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩০.৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আগামী জুনের মধ্যে ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার নেট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা রিজার্ভের সর্বশেষ অবস্থার জন্য দুটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ও এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্সের উত্স থেকে তুলনামূলকভাবে কম আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরা এপ্রিল মাসে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। যা মার্চের আগের মাসে আয়ের তুলনায় ১৬.৭৬% কম। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে, প্রবাসীরা ২.০১ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এপ্রিলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছিলেন তারা। তবে প্রত্যাশিত বৈদেশিক মুদ্রা আসেনি।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি রেমিট্যান্সের বিনিময় হারের সর্বশেষ বৃদ্ধি রেমিটার্সকে আগামী দিনে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে উৎসাহিত করবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দিনের মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১ বিলিয়ন ডলার আমদানির অর্থ পরিশোধ করতে প্রস্তুত হওয়ায় শিগগিরই রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।