ঢাকা, বুধবার ১ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

রেল পূর্বাঞ্চলে এফএএন্ডসিএও বিভাগের গাছ কর্তন, জব্দকৃত কাঠ ছাড়াতে তদবীর

কাজী হুমায়ুন কবির : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড এলাকার টিএ ব্রাঞ্চের সামনে থেকে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার ট্রাকসহ গাছ জব্দ করেন আনএনবি। জানা যায়, সেই জব্দকৃত গাছগুলো এফএএন্ডসিএও বিভাগের নির্দেশনায় গাছগুলো কর্তন করা হয়। সেখানে আম কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ রয়েছে। সেই জব্দকৃত গাড়ি ও গাছ  বুধবার কোন অফিস নির্দেশনা না দিয়ে আরএনবি কমান্ডেন্ট রেজাউন উর রহমানের বিরুদ্ধে জব্দকৃত গাছের ট্রাক ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 জানা যায়, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রেলওয়ে টি এ অফিসের গেইট থেকে জব্দ করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আর এন বি হাবিলদার দেলোয়ার। জব্দকরার মুহুর্তে হিসাব বিভাগের মোহাম্মদ সোহেল তার সাথে বাকবিতন্ডা করেন। বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে সে রেলের হিসাব কর্মকর্তা/প্রশাসন/টিএ  আবুল হাসান আখন্দ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত ছাড়পত্র দেখান। যে আদেশ ও ছাড়পত্রে লেখা আছে অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা /পূর্ব এর কার্যালয়ে কাঠের আসবাবপত্র মেরামতের প্রয়োজনে কিছু গাছ চিরাই করার জন্য স মিলে পাঠানো হলো। অতিঃ অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার অনুমোদন ক্রমে।

জানা যায়, পলোগ্রাউন্ড স্কুলের সীমানার ভিতরে ১৫-৪০ বছর বয়সী আম কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে। রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে কর্তব্যরত আরএনবি দেলোয়ার এই গাছের গাড়িটি জব্দ করে।

আরএনবির সিআই মাসুদ জানান, কর্তন করা ট্রাক বোঝাই গাছ আটক করা হয়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রাকটা ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

হাবিলদার দেলোয়ার প্রতিবেদককে বলেন, গাছ কর্তন করে কাঠের ট্রাক গেইট পার হওয়ার সময় আমি তাদের কাছে কাগজ পত্র চেক করতে চাইলাম। সোহেল আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াল। পরে আমি কাগজ দেখতে চাইলে টিএ ব্রাঞ্চের কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি ছাড়পত্র দেখাল। আমার সন্দেহ হলে আমার উর্ধ্বতনদের জানালাম। বাকী ব্যবস্থা স্যাররা নিয়েছেন।

হিসাব কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন আখন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছাড়পত্র হিসাবে আমার স্বাক্ষরিত যে কাগজটি দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। 

আরএনবি কমান্ডেন্ট রেজাউন উর রহমানকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এফএন্ডসিএও এর কর্মকর্তারা গাছ কাটার প্রসিডিউর মেইনটেন না করেই গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা জব্দ করেছি। তারা প্রসিডিউর মেইনটেইন করে তাদের অধিনে কাটা গাছগুলো নিয়ে যাবে। প্রসিডিউর মেইনটেইন না করে গাছ কর্তনতো একটি অন্যায় এই বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা ঠিক। গাছ এখনো সেখানেই আছে। দেখা যাক কি হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা সাইদুর রহমান সরকার বলেন, এগুলোতো কয়েকটা আম গাছ। এসব দিয়ে কি ফার্নিচার হয়। গাছগুলো মুলত বাগান পরিস্কার করার জন্য কাটা হয়েছিল।