টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বাদ যোহর মির্জাপুর সরকারি এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তার দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জানা যায়, বাদ আসর পোষ্টকামুরী গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দ্বিতীয় জানাজা নামাজের আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মৃতদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ ও একাব্বর হোসেনের একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
উল্লেখ্য, কিডনিজনিত অসুস্থতার কারণে একাব্বর হোসেন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করাতে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ অক্টোবর সিটিস্ক্যান রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানতে পারেন তিনি ব্রেইনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। পরে বাদ এশা ধানমন্ডি-৭ নং রোডের বায়তুল আমান মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন অষ্টম, নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।