ভোলার মনপুরায় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ার জেরে দৈনিক ভোরের কাগজের মনপুরা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে দুই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে সর্বমোট ৪২ জনের বিরুদ্ধে মারামারি, লুটপাট, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে দৈনিক ভোরের কাগজের মনপুরা প্রতিনিধি সোহাগ মাহামুদ সৈকতকেও মামলার আসামী করা হয়। মামলার সংবাদ শুনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা।
শনিবার (০৮ জানুয়ারী) মনপুরা থানায় মারামারি, লুটপাট, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উক্ত মামলাটি দায়ের করেন, চাল বিতরনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীরের ভাই উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।
এর আগে গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ার টেক কিল্লার পাড় এলাকায় দুই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন হাওলাদার ও আমানত উল্লাহ আলমগীরের সমর্থকদের মাঝে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনা স্থলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সোহাগ মাহামুদ সৈকতকে মামলা আসামী করা হয়।
এব্যাপারে মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে ভোরের কাগজের সাংবাদিক কে আসামী করাটা দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিক সোহাগ মাহামুদ সৈকত জানান, মারামারির ঘটনায় আমি পেশাগত কাজে সহকর্মি দৈনিক ইত্তেফাকের মনপুরা প্রতিনিধি মোঃ ছালাহ উদ্দিনের সাথে সংবাদ সংগ্রহের কাজে ঘটনাস্থলে যাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করতেই আমাকে উক্ত মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই তদন্তপূর্বক উক্ত মামলা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে ইত্তেফাক প্রতিনিধি মোঃ ছালাহ উদ্দিন বলেন, পেশাগত কাজে ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সোহাগ মাহামুদ সৈকত সহ আমি ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই। কি কারনে মামলা দেয়া হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।