![](https://dainikbayanno.com/storage/lal.jpg)
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেলস্টেশনে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপেজের দাবিতে বুড়িমারী গামী কমিউটার ট্রেন তুষভান্ডার রেলস্টেশনে থামিয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী ) রংপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী গামী কমিউটার ট্রেনটি কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টপেজ পুনর্বহালের দাবিতে স্থানীয় সহস্রাধিক জনতা ট্রেন আটকিয়ে দেন।
স্থানীয়দের দাবি, তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের সিডিউল মোতাবেক তুষভান্ডার স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিত 'স্টপেজ' ছিল। হঠাৎ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গতকাল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে 'স্টপেজ' বাতিল করে দেন। যেকারনে, তুষভান্ডার এলাকাবাসি হতবাক হয়ে পড়েন। তুষভান্ডার স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, স্টপেজ বাতিলের কারণ হিসেবে সময়সূচি অপ্টিমাইজেশন উল্লেখ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা এ যুক্তি মানতে নারাজ।
তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনটি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে উপজেলার সদর স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং সকল ট্রেনের স্টপেজ এখানে হয়। তুষভান্ডার স্টেশনটি কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত তিনটি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। যদি তুষভান্ডারে স্টপেজ না দেওয়া হয়, তাহলে ভোটমারি থেকে কাকিনা রেলওয়ে স্টেশন আসতে প্রায় ২০/২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে, যা স্থানীয়দের জন্য বড় ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি করবে।এছাড়া, তুষভান্ডার স্টেশনটির পার্শ্ববর্তী এলাকার মৌলিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন মেডিকেল হাসপাতাল, থানা, একাধিক সরকারি ব্যংক, ইউএনও অফিসসহ সরকারি একাধিক অফিস এখানে অবস্থিত। এই স্টেশনটি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে সরকারি কলেজ, পলিটেকনিক্যাল কলেজ, লালমনিরহাট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট,মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল,অটিজম সেবাকেন্দ্র সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করা সহজতর।
ট্রেন থামিয়ে অবরুদ্ধ ও বিক্ষোভ করার কারণে রংপুর থেকে আসা বুড়িমারীগামী যাত্রীগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ পূর্নবহালের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে স্থানীয় জনতা।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ