বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচারণায় আয়োজিত 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান: স্মৃতিচারণা ও ভবিষ্যৎ ভাবনা' শীর্ষক আলোচনায় উপস্থিত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘শহিদদের স্বপ্ন ব্যর্থ হলে সে দায় আমাদের কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ এর যোদ্ধাদের কথাতেই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন।’
রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, যাদের রক্তের ওপর দিয়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৈচিত্র্যের নামে আমাদের মধ্যেই বিভাজন তৈরি হয়েছে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যারা শহিদ হয়েছেন এবং রক্ত দিয়েছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ার পথে। শহিদদের স্বপ্ন ব্যর্থ হলে সেই দায় আমাদের ওপরেই আসবে, কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ এর যোদ্ধাদের কথাতেই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেকে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত সকলের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা। এটা করা না গেলে স্বৈরাচারের সাথে আমাদের কোনো পার্থক্য থাকবে না। কেউ যদি ভিন্নমত পোষণ করে সেটাকে হিংসার পর্যায়ে নেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ পরিবর্তনের আগে নিজের চরিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হলে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পরিবর্তন করতে না পারলে, রাষ্ট্র পরিবর্তন করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ, যা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কেউ সীমালঙ্ঘন করবেন না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সাভারের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।