আলোচনা করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সময় দিয়ে বোঝাতে হবে। এই বয়সে তাদের একটু উত্তেজনা থাকতেই পারে। একটু সময় দিয়ে, বুঝিয়ে, তাদের সঙ্গে কাজ করে সব সমাধান করতে হবে। কোনো হঠকারী বিষয় যেন তাদের ওপর চাপিয়ে না দেওয়া হয়। ধৈর্যের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে। শাবির ঘটনায় যেন আগুনে ঘি না ঢালা হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় একটি মাদরাসার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। তাদের ছেড়ে যেতে আমরা পারি না। তাদের মঙ্গল আমরা চাই। সুতরাং এই ব্যাপারে মুখোমুখি না হয়ে বসে আলোচনা করে সমাধান করা উচিত।
ইতোমধ্যে আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সমাধানের জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। তারা খোঁজখবর নিচ্ছে। তা ছাড়া এই আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বিষয়টি সমাধানে খুবই আন্তরিক। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সময় দিয়ে একটা সমাধান করতে পারবেন বলে আমার মনে হয়।
এম এ মান্নান জানান, প্রতিক্রিয়াশীল দল সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু হলে আঙুল দেবে। তারা তো বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করে না। তাদের ধারণা, বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশ আরও উত্তম। কেউ কেউ অন্য দেশকে স্বর্গ মনে করে। প্রতিক্রিয়াশীল ও আধা প্রতিক্রিয়াশীল সুবিধাবাদী কিছু চক্র আছে, যারা নানাভাবে ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ খুঁজতেছে। তারা সুযোগ নেবে, এটাই রাজনীতির নিয়ম। তবে আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। উন্নয়ন আমার শখ ও অভিলাষ। প্রতিক্রিয়াশীলদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের রয়েছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আঞ্জুমান আরা অঞ্জু, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাউন্সিলর মোখলিছুর রহমান কামরান, ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ভারপ্রাপ্ত মেয়র তাপস চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরীসহ অন্য নেতারা।