যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ভাই আব্দুল ওহাব (৫৫) কে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান তবিবুর রহমানের অনুসারীরা শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার বাড়িতে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে শার্শা থানায়। আহত আব্দুল ওহাব শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সালেহা খাতুন জানান, এবারের ইউপি নির্বাচনে আমার স্বামীর বড় ভাই নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনে পরাজয় করেন। নতুন চেয়ারম্যান শপথ নেওয়ার পর তাদের বাড়িতে চাঁদা চাইতে আসেন উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের জুম্মান আলী (৩৫), রানা মিয়া (৩৫), আইজুল মিয়া (২৫), ফারুক হোসেন ও আব্দুল মজিদ (৩৬) সহ আরো ৫/৬ জন। চাঁদা না পেয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কেন টাকা দিতে হবে এবং গালাগালি কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে আসামিরা হাতুড়ি, রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন আমার স্বামীকে। তাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে আমার মেয়ে শ্যামলী ও আমাকেও তারা মারধর করা হয়। কাপড় টানাহেচড়াও করা হয়। আমাদের চিৎকারে এলাকার জহুরা ও রিজিয়া এগিয়ে এলে তাদের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ১০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান তারা।
এ বিষয় জানতে চেয়ে গোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তবিবর রহমানকে ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, গোগায় এরকম একটি ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা কয়েক দফায় ঘটেছে ওই ইউনিয়নে।